অনিন্দিতা গুড়িয়া

হুঁশিয়ার 

অনিন্দিতা গুড়িয়া 




পুরুষের ওই চোখ রাঙানিকে 
মোরা মানি না মানবো না 
মোদের ও দুখানা আছে চোখ 
পুরুষের কি তা অজানা! 

সমাজের ভয়ে পিছবনা মোরা 
সমাজ মোদের ও নিয়ে, 
যতটুকু দেয় পুরুষ এ ভবে 
আমরাও যাই দিয়ে। 

পুরুষেরা বোনে ধ্বংসের বীজ 
আমরা সৃজন করি 
পুরুষেরা বলে - সৃজিয়াছে তারা 
আহা লাজে মরি মরি! 

দূঃশ্বাসনেরা চিরটা কালকি 
সমাজে চালাবে শাসন? 
চিরটা কাল কি নারী দেহ হতে, 
খুলিয়া লইবে বসন! 

সেজেছে দ্রৌপদী নব রণ সাজে 
ঝলসিতা অসি হাতে 
পর্দার পিছে নয়কো বন্দী 
জয় তাজ তার মাথে। 

পুরুষ শাসিত সমাজের নারী 
করবেই প্রতিকার, 
তাইতো রমনী রনরঙ্গিনী 
খাপ খোলা তলোয়ার। 

পুরুষ তোমার শোষণের দিন 
হয়ে এলো অবসান, 
নারীরা রচবে নতুন সমাজ 
সাবধান! সাবধান! 


মেয়ের চিঠি

মা গো; এখন তুই কেমন আছিস 
জানতে ইচ্ছে করে, 
আবার যদি জন্ম নিই মা
তোমার কোলের পরে-
তবে আর মেয়ে হয়ে নয় 
ছেলে হয়েই জন্মাতে চাই। 
মেয়ে জন্মের কষ্ট অনেক 
রন্ধ্রে রন্ধে শিরায় শিরায়। 
আমরা; নিত্য মরি পথে-ঘাটে 
বাসে ট্রামে স্কুল কলেজে 
কোথায় নয়, সবখানেতে-
রক্ত লোলুপ পশুর হাতে। 
ওরা; বুকের খাঁজে পিঠে পাছায় 
চক্ষু দিয়েই শুষে নিতে চায়, 
কেউবা আবার দু গাঁট চড়া 
হাত বোলাতেই সবার সেরা। 
ওদের নেইকো বিবেক লজ্জা শরম
নেইকো জাত নেইকো ধরম
ওরা সব একই শ্রেণীর 
এক পরিচয় ধর্ষক, 
দেশের মন্ত্রী-সন্ত্রি আমলা
ওদের পৃষ্ঠপোষক। 
বুকের ভেতর আগুন জ্বলে 
রাগে দুঃখে আক্রোশে
মেয়ে হবার শাস্তি এত পেতে হবে
জানলে পরে জন্ম পূর্বে যেতাম খসে। 
তোর ঘরে মা আছে যত পুরুষ মানুষ 
একটু যদি বোঝাতে পারিস নারীর ব্যথা
কাম লালসার আগুন নিভে 
জাগ্রত হোক স্নিগ্ধ জ্যোতি
অরূপ প্রেমের আলোক গাথা।। 



পাঠকের মতামতঃ